একাধিক কালীপুজোর উদ্বোধনে মন্দির নগরীতে শুভেন্দু অধিকারী

14th November 2020 10:43 am বাঁকুড়া
একাধিক কালীপুজোর উদ্বোধনে মন্দির নগরীতে শুভেন্দু অধিকারী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন আছে,  সংকীর্ণতা আছে। আমি ভালো, তুমি খারাপ।' কিন্তু ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠান গুলি সবার উপরে, দলমত নির্বিশেষে। এই মুহুর্তে রাজ্য রাজনীতির বহু আলোচিত শুভেন্দু অধিকারী  শুক্রবার ঝটিকা সফরে বাঁকুড়ায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। অন্যদিকে পরে বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোড গ্লোবাল টোয়েন্টি নাইন ক্লাবের ২৭ তম বর্ষের কালী পুজা উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়েও সোজা ব্যাটেই খেললেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'আমার পরিচয় যাই হোকনা কেন, পদ যাই থাকুক না কেন, আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি আপনাদের আত্মার আত্মীয়। আমি সব সময় আপনাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবো'।

এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বাঁকুড়ায় পৌঁছেই প্রথমেই শহরের ভারত সেবাশ্রম সংঘে যান। সেখানে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৮০০০ পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। পরে শহরেরই গ্লোবাল টোয়েন্টি নাইনের ২৭ তম বর্ষের কালী পুজো উদ্বোধন করেন। পরে রবীন্দ্র সরণী ইউনাইটেড ক্লাবের মন্দিরে প্রস্তর নির্মিত কালী মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে। সব শেষে পুয়াবাগান পঞ্চবটীতে কালী পুজোর উদ্বোধন করে জেলা সফর শেষ করেন এই মুহূর্তে সংবাদ শিরোনামে থাকা শুভেন্দু অধিকারী।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।